সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, তালপাতায় পুঁথিচিত্র লিখন ও নকশা বা খোদাই পদ্ধতিকে ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠাবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। তালপাতার ওপর ছবি এঁকে ও লিখে সেটাকে খোদাই করে পুঁথিচিত্র তৈরি একটি অনুপম শৈল্পিক কারুকার্য ও বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
শিল্পী আফরোজা জামিল কংকার শিল্পচিত্র ও কবি চয়ন খায়রুল হাবিবে কাব্য অবলম্বনে ‘বাঙালির পরিচয় কাব্য’ শীর্ষক তালপাতা পুঁথিচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে কর্নেল জামিল ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় ও বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক পর্বগুলোকে প্রতীকীভাবে ধারণ করে ফ্রান্সপ্রবাসী কবি ও নাট্যকার চয়ন খায়রুল হাবিবের দীর্ঘ কবিতা ‘বাঙালির পরিচয় কাব্য’ অবলম্বনে তালপাতায় পুঁথিচিত্রটি অলংকরণ ও নকশা করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পী আফরোজা জামিল কংকা। খোদাই কাজ করেছেন ভারতের কারুশিল্পী প্রশান্ত মাহারানা। এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শহীদ কর্নেল জামিল ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালপাতার পাখা মানুষের আদি ও অকৃত্রিম বন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও কারাজীবনে তালপাতার পাখা ব্যবহার করেছেন। চয়ন খায়রুল হাবিব রচিত ‘বাঙালির পরিচয়’ কাব্যগ্রন্থটি প্রথাগত পুঁথিপড়ার সুর ও ছন্দে রেকর্ড করা হলে সেটি সর্বসাধারনের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক হাশেম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সপ্রবাসী কবি ও নাট্যকার চয়ন খায়রুল হাবিব। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী আফরোজা জামিল কংকা।
Leave a Reply