মানব সমাজে একজন মানুষ যদি তার সততা, সদিচ্ছা ও সাহসিকতার যথাযথ ব্যবহার এবং প্রয়োগ করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে কিছু উপহার দিতে চান তবে তা অনায়াসেই প্রদান করতে পারেন। সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
সৃজন বাংলা ৫২ টিভির এক সাক্ষাৎকারে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ত্যাগী কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। ’৭১ এ যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহবানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম ঠিক তেমনি ভাবেই মুজিব আদর্শ বাস্তবায়নে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাবার আহবান জানান।
চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে এ প্রমাণ পেয়েছি। তিনি বলেন,আমার রাজনীতি ত্যাগের, ভোগের নয় ? তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় আওয়ামী লীগের দুঃসময় ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দিশাহারা আওয়ামী লীগকে নিয়ে স্বৈরাচারী সামরিক সরকারের সঙ্গে দলের ভেতরের কুচক্রীরাও নানামুখী খেলা খেলেছেন। সেই সময়ে আমি মূল ধারার সঙ্গে থাকতে পেরেছিলাম।
সাবেক মৎস্য প্রানীসম্পদ মন্ত্রী,সাবেক সিরাজগন্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সাবেক সফল উপজেলা সভাপতি, এবং বর্তমান সিরাজগ্জ জেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আরো বলেন, আমাকে নিয়ে বহুবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি নিষ্ঠার সাথে আমার দায়িত্ব পালন করছি। সৎ পথে রাজনীতি করে বলে তৃণমূলের মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। আমার এলাকার মানুষের জন্য মরণের আগ অবধি কাজ করে যাবো। জীবনের বাকি সময় টুকু জনকল্যাণের জন্য বিলিন করে দিবো। তার পরেও আমার প্রাণ প্রিয় এলাকার মানুষ ভালো থাকবে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া পাওয়া।
Leave a Reply