রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের উৎস ও কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেন, নাশকতা কি না এখনো বলা যাচ্ছে না। গোয়েন্দা দল তদন্ত করে দেখছে। সবাই কাজ করছে। কাজ শেষ হওয়ার পর জানা যাবে। আন্ডার গ্রাউন্ডে কয়েকটি চেম্বার আছে বলে আমরা জেনেছি।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সায়েন্সল্যাব ও গুলিস্তানের ঘটনায় এখনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। এখানে কোনো গ্যাস লাইন ছিল না। তারপরও কেন এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দারা মাঠে কাজ করছে।
গুলিস্তানের বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে ফায়ার সার্ভিসের কাজের সহায়তা করতে র্যাব কাজ করছে। আহতদের উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় কাজে তদারকি করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল ঝুঁকিপূর্ণ, এখননো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ শেষ করেনি। তাদের কাজ শেষ হলে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল টিম বিস্ফোরণ ও বিস্ফোরকের বিষয় কাজ করবে। এর পাশাপাশি শবেবরাত উপলক্ষে রাজধানীসহ বিভিন্ন মসজিদে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে র্যাব।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ নামে সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে (ক্যাফে কুইন) বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।
বিস্ফোরণের ভয়াবহতা আঁচ করা যাচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখেও। সব ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচল করা যাত্রাবাহী বাসও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। আহত হয়েছেন বাসে বসে থাকা যাত্রীরাও।
ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। অনেকে এখনও নিখোঁজ। হতাহত ও নিখোঁজদের সন্ধানে ঢামেকে ভিড় করছেন স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতাল।
Leave a Reply