1. admin@srejonbangla52tv.com : Srejon Bangla 52 tv :
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

সাফল্যের আলোকিত নক্ষত্র আমাদের অনুপ্রেরণা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৭ Time View

অগ্রজ ব্যক্তিগণ দেশ গড়ার ভার দিয়েছেন যোগ্য অনুজদের। যাতে তারা নতুন শক্তি,নতুন উদ্দীপনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে চূড়ান্ত লক্ষ্যে। আর তাই তো বাংলাদেশের লক্ষ তরুণ হয়ে উঠছে উদ্যোক্তা,বয়ে আনছে দেশের সুনাম।
আজকে আমরা এমন একজন উদীয়মান তরুণ সম্পর্কে জানবো যিনি একাধারে একজন প্রকাশক ও সম্পাদক,রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী,সাহিত্যমনা ও একজন উপস্থাপক।জেনে নেব তার উদীয়মান নক্ষত্র হয়ে ওঠার পেছনের গল্প।
সৃজন বাংলা ৫২ টেলিভিশন ও সময়ের আয়োজন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আল আমিন সোহাগ।যার জন্ম ১৯৯৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর।তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীতে,বর্তমান ঠিকানা রুপগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ।
চলুন কথা বলি তার সাথে।

জান্নাত: সময়ের আয়োজন পত্রিকার আজকের এই সাক্ষাতকারে আপনাকে স্বাগতম।কেমন আছেন?

আল আমিন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমাকে এত সুন্দর একটা আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।জ্বি ভালো আছি।

জান্নাত: কিছুদিন আগেই তো উদযাপিত হলো পবিত্র ঈদুল আযহা,কেমন কাটলো আপনার ঈদ?

আল আমিন:
ভালো লাগা,খারাপ লাগা দুটো মিলিয়েই কেঁটেছে এবারের ঈদ।কোনো ব্যস্ততা ছিল না,মা-বাবার সাথে কেঁটেছে পুরোটা দিন।খারাপ লাগার কারণ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।অনলাইনে আত্তীয়-স্বজন,কলিগ,সাংবাদিক সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এভাবে কাটলো পুরো দিন।

জান্নাত: গত বছর আর এই বছর ঈদ উদযাপনের মধ্যে পার্থক্য কী দেখলেন?

আল আমিন: গত বছর ঈদ আর এ বছর ঈদে অনেক বিষয়ে পার্থক্য ছিল।সবচেয়ে বেশি পার্থক্য ছিল ঈদের নামাযে,যেখানে প্রতিবছর সবাই এক কাতারে বসে নামায পড়েছি এবছর সেটা হইনি সবাই নির্দিষ্ট দুরত্ব মেনে নামায পড়তে হয়েছে করোনার জন্য।থাকতে হয়েছে একে অপরের থেকে ৩ ফুট দূরে দূরে।পরিবারকে নিয়ে বেড়ানো,ছোটদের সালামি দেয়া,মেহমানদের আপ্যায়ন এসব কিছুই হয়নি এবছর ঈদে যা গত বছর ছিল।সবার মনে ছিল শুধু করোনা নিয়ে ভয়।মানতে হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।কাজের ব্যস্ততা খুব কম ছিল।আর একটা বিষয় হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।এটা ও ছিল মন খারাপের একটা বিষয়।মূলত গত বছর ঈদ কেঁটেছে আনন্দে,আর এ বছর ঈদ কিছুটা বিষাদে।

জান্নাত: প্রতিটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে আনন্দময় স্মৃতি হচ্ছে তার শৈশব-কৈশরের স্মৃতি।আপনার শৈশব-কৈশরের দিনগুলো সম্পর্কে জানতে চাই?কোথায় কেটেছে আপনার শৈশব-কৈশর?

আল আমিন: সবার মতো আমার শৈশব টা ও ছিল খুবই আনন্দময়।আমার শৈশব কেঁটেছে নোয়াখালীতে দাদাবাড়িতে।আমার প্রিয় একজন ব্যক্তি ছিল আমার দাদা মরহুম আব্দুর রহমান মাস্টার।চার বছর বয়সে আমার দাদা মরা যান।আমার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ হয়েছে নোয়াখালীর জমিদার হাটে।অন্য সবার মতই দুরন্তপনা করতাম,বিভিন্ন খেলা খেলতাম।ঈদ এলেই সালামি কত পাবো গুণা শুরু করতাম।স্কুল ছুটি হলেই কখন আসব মাঠে ক্রিকেট খেলতে ওই চিন্তায় থাকতাম।মোট কথা এখনকার শৈশব থেকে আলাদা ছিল প্রযুক্তিনির্ভর দিন রাত কাটেনি।

জান্নাত: আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?

আল আমিন:
আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয়েছে নোয়াখালীতে।প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলাম জমিদারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,উচ্চ মাধ্যমিক জমিদারহাট বি.এন. উচ্চ বিদ্যালয়ে।এরপর আমার পুরো পরিবার চলে আসে নারায়ণগঞ্জে (মাতুলালয়ে)।কলেজ শেষ করি ইস্টার্ন আইডিয়াল কলেজ,নারায়ণগঞ্জ।অনার্স,মাস্টার্স শেষ করি তুলামার সরকারি ডিগ্রি কলেজ,নারায়ণগঞ্জ।বাংলাদেশ মিড়িয়া ইনস্টিটিউট(BMI) থেকে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করি।

জান্নাত: ক্যারিয়ারের শুরুটা কীভাবে করলেন?

আল আমিন: আমার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১২ সালে আল মুসলিম গ্রুপে কাজ করার মাধ্যমে।সেখানে আমি ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি।তারপর ২০১৪ সালে মানবজমিনে কাজ করি।এরপর সম্পদনায় যুক্ত হই ”মাসিক সময়ের আয়োজন” ২০১৮ সালের জুনের ১২ তারিখে।২০১৯ সালে ডিসেম্বরে সময়ের আয়োজন মাসিক থেকে সাপ্তাহিক হয়।এছাড়া ও আমি একুশে টেলিভিশনে উপস্থাপনার কাজ ও ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছি।

জান্নাত:
বর্তমানে আপনি কী করছেন?

আল আমিন:
বর্তমানে আমি সৃজন বাংলা ৫২ টেলিভিশন ও সময়ের আয়োজন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে আছি।এছাড়াও যুক্ত আছি ”ইউনিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট(UFIJ)”- এর সাথে।এর পাশাপাশি ব্যবসা সামলাচ্ছি।

জান্নাত:
ক্যারিয়ার জীবনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো গল্প আছে যা আপনাকে আনন্দিত কিংবা দুঃখিত করে?

আল আমিন:
আমি যখন কলকাতা যাদবপুর বিশববিদ্যালয়ে পড়তে যাই তখন আমার জীবন-যাপনে অনেক কষ্ট হয়েছিল।আমি বাঙ্গালি ছিলাম বলে কোনো ছাত্র-ছাত্রী আমার কাছে টিউশনি পড়তো না কারণটা হলো আমি হিন্দি জানতাম না।ঢাকা থেকে আমার জন্য টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা ভালো ছিলনা,ফলে টাকা খুব কম পাঠানো হতো।কোনো পরিচিত মানুষ সেখানে ছিলনা যে আমাকে একটু সহযোগিতা করবে।কলকাতায় কাটানো সময়গুলোর কথা মনে পড়লে আমার এখনো খারাপ লাগে যদিও ওই সময়টার জন্য আমি এখন এ অবস্থানে।

জান্নাত: এই যে আপনার এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কোন মানুষটি আপনাকে অনুপ্রেরণা,সাহস যুগিয়েছে?তার সম্পর্কে কিছু বলেন?

আল আমিন:
আমার বাবা ছিলেন আমার এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার একমাত্র অনুপ্রেরণা ও সাহসের স্থান।আমার বাবার নাম মোঃ নুর উল্যা।তিনিই আমার একমাত্র অনুপ্রেরণা।

জান্নাত: আপনি তো একুশে টিভিতে একজন ক্রাইম রিপোর্টার ও উপস্থাপক ছিলেন আর এখন একজন প্রকাশক ও সম্পাদক তখনকার আর এখনকার কিছু অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির কথা যদি বলতেন?

আল আমিন: তখনকার অনুভূতি ও এখনকার অনুভূতি দুটো আলাদা ছিল।তখন আমি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এখন সেই অভিজ্ঞতা গুলোকে কাজে লাগাচ্ছি।নতুন তরুণদের দক্ষ সাংবাদিক হয় উঠতে সাহায্য করছি।

জান্নাত:
এসব কিছুর পাশাপাশি জানি যে আপনি লেখালেখি ও করেন।সাহিত্য নিয়ে আপনার অভিব্যক্তি জানতে চাই?

আল আমিন: সাহিত্য হচ্ছে আমাদের মনের খোরাক।মনের প্রশান্তি বয়ে আনে সাহিত্য।একজন কবি কিংবা লেখক যাদের প্রথম বা প্রধান কাজ হচ্ছে বেশি পড়া,বেশি লিখা।সাহিত্য হলো একজন মানুষের মনের,একটি জাতির দর্পণ স্বরুপ।সাহিত্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যায় সবকিছুকে সাবলীল ভাবে।যুগে যুগে বিভিন্ন গুণীজন তাদের ক্ষোভ কিংবা ভালোবাসা সব প্রকাশ করেছেন সাহিত্যের মাধ্যমে।

জান্নাত: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছেন।এ পর্যন্ত কতটি বই লিখেছেন?কিছু বইয়ের নাম যদি বলেন?

আল আমিন:
একক ও যৌথভাবে মোট তিনটা বই লিখেছি।আমার প্রথম একক কবিতার বই হচ্ছে “ভালোবাসার রং”।যৌথ কবিতার বই হচ্ছে “পদ্মপাতা”।ক্যারিয়ার বিষয়ক একটি বই লিখেছে “ডিজিটাল গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ গাইড”

জান্নাত: ধন্যবাদ। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যাত্রা কীভাবে শুরু করলেন?প্রথম কি দিয়ে শুরু করেন?

আল আমিন: ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমার যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে ধানসিঁড়ি পেপার হাউজ প্রাঃ লিঃ এর মাধ্যমে।আর বর্তমানে ডেসোনিক সাইন এন্ড প্রিন্টার্স,ডেসোনিক ফ্যাশন গ্যালারি আছে।এছাড়া ও আরো কিছু যৌথ ব্যবসা রয়েছে।

জান্নাত: এবার কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে চাই।আপনার পরিবারে কে কে আছেন?তাদের সম্পর্কে বলেন?

আল আমিন:
আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা সাতজন।আমার বাবা,মা,আমরা চার ভাই ও এক বোন।বাবা একজন ব্যবসায়ী,মা গৃহিণী।আমি বড় সন্তান।মেজো ভাই চাকরি করে,বাকি দুই ভাই ও ছোট বোন পড়াশুনা করে।আমাদের সবার চোখের মণি হচ্ছে ছোট বোন।

জান্নাত: অবসরে কি করতে পছন্দ করেন?

আল আমিন:
ফুলের বাগান করতে পছন্দ করি,বই পড়তে পছন্দ করি।

জান্নাত: প্রিয় কবি ও লেখক কে?

আল আমিন: প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আর প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

জান্নাত: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আল আমিন:
সময়ের আয়োজন পত্রিকা ও সৃজন বাংলা ৫২ টেলিভিশন নিয়ে আরো কাজ করার ইচ্ছে আছে।পরিশ্রমী তরুণদের নিয়ে কিছু করার ইচ্ছে আছে।সময়ের আয়োজনকে দৈনিক করার জন্য কাজ করছি।

জান্নাত:
একজন তরুণ হিসেবে কেমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন?

আল আমিন: একটি সৃজনশীল,সৃষ্টিশীল,দুর্নীতিমুক্ত দেশ দেখতে চাই।এমন একটি দেশ চাই যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিটি মানুষ স্বোচ্চার হবে।যে দেশ নৈতিকতার দিক থেকে হবে উঁচু এমন একটি দেশ চাই।

জান্নাত:
বর্তমান তরুণদের উদ্দেশ্যে কিছু বলেন?

আল আমিন: বর্তমান তরুণদের শুধু আমি এটাই বলব,সময়কে কাজে লাগাও।অনলাইন মাধ্যমে অযথা সময় নষ্ট না করে সে সময়টাকে কাজে লাগাও।সৃষ্টিশীল,মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে এমন কিছু কর।যতটুকু সময় তুমি মুভি কিংবা একটা নাটক দেখায় ব্যয় করবে ততটুকু সময় তুমি দেশ সেবার কাজে লাগাও,বিভিন্ন ম্যাগাজিন কিংবা গল্পের বই পড়।আমি এটা বলব না যে বিনোদন কিংবা প্রযুক্তি থেকে দূরে থাক,ওগুলো তে সংযুক্ত থাকো কিন্তু সেটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।এখন সময় তোমার সময়কে কাজে লাগানোর।

জান্নাত: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।আপনার কথা গুলো পরিশ্রমী তরুণদের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।

আল আমিন:আপনাকে ও সময়ের আয়োজন পত্রিকা কে ও অনেক ধন্যবাদ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© srejonbangla52tv.com 2022 All rights reserved
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD