বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে মানসম্মত গবেষণা পেতে এ খাতে আরও দ্বিগুণ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ গবেষণা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণার ধারা অব্যাহত না রাখতে পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তরুণ চিকিৎসকরা গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিক দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গবেষণার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারলে বছরে এক লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। বিএসএমএমইউয়ে গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউয়ে শিক্ষক, চিকিৎসকদের মধ্যে গবেষণা করার জন্য আগ্রহ ও উৎসাহের দিক দিয়ে নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের চাহিদা পূরণে গবেষণা খাতে বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। এরই মধ্যে গবেষণা খাতে বরাদ্দ পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করে ৪ কোটি থেকে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়াও গবেষণা কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য চলতি শিক্ষাবর্ষে এ প্রথম একসঙ্গে ২৪ গবেষক চিকিৎসককে পিএইচডি কোর্সে এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেওয়া সমন্বিত গবেষণা পুরস্কারের ২০ শতাংশই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টরা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম বলেন, বিশ্বমানের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে।
এসময় বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, গবেষণায় ইথিকাল পার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই গবেষণার ক্ষেত্রে ইথিকাল মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন বলেন, গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। গবেষণা দিবস পালনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
Leave a Reply