দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আহত করার অভিযোগ করে এসব ঘটনার নিন্দ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, রংপুরের গঙ্গাচড়া, পিরোজপুরের নাজিরপুর, যশোরের ঝিকরগাছা এবং বরগুনার পাথরঘাটায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বিরোধীদলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। সরকারদলীয় লোকজন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাংচুর, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার এবং সভা-সমাবেশ পণ্ড করা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা চলছে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট বরগুনা জেলা শাখার আহ্বায়ক মিল্টন গয়ালীকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত এবং ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নাজিরপুর শহীদ জিয়া কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়েজ এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান দুলালসহ অনেক নেতাকর্মীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
যশোরের ঝিকরগাছায় নাভারন ইউনিয়ন যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম, মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক টুটুল হোসেন, মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক সৌরভ হোসেন, গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবু মুসা, জামাল গাজী, বাবলু ডাক্তার, মুকুল হোসেন এবং সোহেল রানাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
Leave a Reply