দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচেই ৫৯ বল হাতে রেখে জেতায় রানরেটও বেশ চড়া আফগানদের। তাই শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারলেও সুপার ফোর খেলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকবে মোহাম্মদ নাবির দলের।
সেই আলোচনা বহু দূরে। আফগানদের আগ্রাসী ক্রিকেট দেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচেও তাদের ফেবারিট হিসেবে ধরতে শুরু করেছেন অনেকে। বিশেষ করে ম্যাচটি শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে বিধায়, আফগান স্পিনারদের কাজ আরও সহজ হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এই আলোচনায় কান দিতে রাজি নন আফগানিস্তানের অধিনায়ক নাবি। শারজাহর উইকেট কখনও কখনও স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দেয়, সেটি জানা আছে নাবিরও। তবে সেটি হলে যে বাংলাদেশের জন্যও কাজটি সহজ হবে সে বিষয়েও সতর্ক আছেন আফগান অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আফগানিস্তানের তিন স্পিনার মোহাম্মদ নাবি, মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান মিলে ১২ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৫০ রান, শিকার করেছেন ৪ উইকেট। শুধু দুবাইয়ের উইকেট বা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই নয়, যেকোন দিনই প্রতিপক্ষের জন্য সমান ভয়ঙ্কর আফগানদের এ স্পিনাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের তাদের নিয়ে করতে হবে আলাদা পরিকল্পনা। এর সঙ্গে যদি উইকেটের সাহায্য যোগ হয় তাহলে কাজ আরও কঠিন হবে ব্যাটারদের জন্য। তবে আপাতত সেটি নিয়ে ভাবতে রাজি নন নাবি। কেননা শারজার উইকেট যেমন স্পিন সহায়ক হয়, আবার অনেক সময় পুরোপুরি ব্যাটিংবান্ধবও হয়।
এ কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটের আচরণ দিয়ে বাড়তি সুবিধা দেখছেন না নাবি। শ্রিলণকার বিপক্ষে ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনও জানি না, পিচের আচরণ কী হবে। (শারজায়) কখনও পুরোদস্তুর ব্যাটিং পিচ পাওয়া যায়, কখনও কখনও টার্নিং পিচ মেলে। আমি জানি না এবার কী ধরনের পিচ পাওয়া যাবে।’
স্পিনিং উইকেট হলে যে বাংলাদেশের জন্যও সুবিধা হবে সে কথা মনে করিয়ে নাবি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের দেশে এ ধরনের পিচেই খেলে। তারা ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলে। আর আমরা এরই মধ্যে শারজাহতে অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলের জন্যই হয়তো উইকেট মানানসই হবে।’
Leave a Reply