হাওয়া’ সিনেমার কলাকুশলীদের একটি দল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় আসার কথা থাকলেও তারা এসে পৌঁছান দুপুর ১২টার পরে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে দর্শক ও ভক্তদের মুখোমুখি হন তারা।
গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমাটি এরই মধ্যে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেমাবিষয়ক ক্লাব ৩৫ এম এমের আমন্ত্রণে সিনেমার কলাকুশলীদের একটি দল ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে।
সিনেমার কলাকুশলীদের দেখতে বৃষ্টির মধ্যেও প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেন অসংখ্য দর্শক ও ভক্ত। পরে প্রিয় শিল্পীদের কাছে পেয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাঙালির শোকের মাস চলমান থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো গান-বাজনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই অনুষ্ঠানের শুরুতে পালন করা হয় নীরবতা। পরে শিল্পীদের নানা অভিজ্ঞতা ও দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হয়ে প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ৩৫ এম এম, দ্য কেইউ মুভি ক্লাবের আহ্বায়ক বহ্নিশিখা চৌধুরী।
সিনেমায় খুলনাঞ্চলের স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করায় পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান দর্শকরা। এ বিষয়ে মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা যেহেতু সমুদ্র অঞ্চল নিয়ে কাজ করেছি তাই খুলনা, বাগেরহাট, শরণখোলা, দুবলার চরে মানুষের ভাষা ব্যবহার করেছি। কারণ খুলনার স্থানীয় ভাষা অনেকটা মূল বাংলা ভাষার কাছাকাছি। তাছাড়া এটি সহজেই গণমানুষকে কানেক্ট করতে পারে।’
সম্প্রতি ‘হাওয়া’ সিনেমায় ব্যবহৃত শালিক পাখি নিয়ে বন্যপ্রাণী আইনে করা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গণমানুষের ভালোবাসা শিল্পকে কখনো রুদ্ধ করতে পারবে না। যদি কোনো শিল্প সেন্সর বোর্ডে হোক বা যে কোনো জায়গায় আটকে যায়, তাহলে আপনারা তো আছেন। আপনারা কথা বলুন, আপনার মতামত প্রকাশ করুন। যে কোনো সিনেমা, কবিতা, চিত্রকর্ম আটকে দেওয়ার একটা প্রবণতা সবসময় দেখা যায়। তবে শিল্পটা বোঝার জন্য অনেক মানুষ আছে, না বোঝার মানুষ বরং অল্প। তাই এগুলো কখনো শিল্পের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে না।’
Leave a Reply