নিজস্ব প্রতিবেদক; বঙ্গবন্ধু নির্যাতিত-মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন’ জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মু্ক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর। তিনি সারা জীবন গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন।

মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

আলোচনা সভায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও জাতি উপহার দিয়েছেন। তিনি ধাপে ধাপে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার দেশের জন্য অবদান রেখেছেন। এছাড়া, তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য একটি রত্ন রেখে গেছেন, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রধান আলোচক কবি কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির প্রতীক ও শ্রেষ্ঠ কৃতী। একমাত্র বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখেই বাঙালিরা জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের স্বপ্ন দেখেছিল।

তিনি আরও বলেন, কোটি কোটি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই ছিল। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে আধুনিক-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তার উন্নয়ন ভাবনা আজও বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীন সার্বভৌম দেশই উপহার দেননি, আত্মপ্রত্যয়ী-আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়াবার শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও অসীম সাহসিকতার পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো দুরূহ মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের মনে-প্রাণে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করতে হবে ও দৈনন্দি জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের কালো রাতে শহীদ হওয়া সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।